উদাসীন শহরবাসীকে লকডাউন শেখাতে ব্যারাকপুরের সর্বত্রই কড়া ডোজ পুলিশের ।

 

অচিন্ত্য চক্রবর্তী ।

লকডাউন লাগু হবার পর রাত পার করে সকালেও লকডাউন নিয়ে বেশ উদাসীন দেখা গেল এক শ্রেণীর মানুষজনকে । এদিনও চায়ের দোকান গুলোয় যথারীতি আড্ডার ঠেক চালু ছিল । অথচ সরকারি নির্দেশিকায় কোথাও চায়ের দোকান খোলার কথা বলা নেই । বাজার খোলা থাকলেও যে দুরত্ব রাখার কথা বারবার বলা হচ্ছে তা কেউই মানছে না । রাস্তায় অনেকেই যেন লকডাউন উৎসব দেখতে বেড়িয়েছে ।

এসব দেখে বিরক্ত পুলিশ প্রশাসন খড়দহে একটু বেলা গড়াতেই কড়া ডোজ শুরু করে । নাকা চেকিং জোরদার করা হয় । জরুরি পরিষেবার গাড়ি বাদ দিয়ে যারা বিনা কারনে লকডাউন হাওয়া নিতে রাস্তায় বের হয়েছে তাদের এমন কয়েকটা ডোজ দেওয়া যা আগামী প্রত্যেক অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় লকডাউনের কথা মনে করাবেই ।

খড়দহ পুলিশের এই ডোজের খবর চাউর হতে সময় লাগেনি, একটু পরে বীজপুর থেকে বরানগর গোটা কমিশনারেট অঞ্চল জুড়ে শুরু হয় লকডাউন ডোজ । তবে পুলিশের এই ভূমিকায় মূহুর্তে বিটিরোড, ঘোষপাড়া রোড সহ গুরুত্বপূর্ণ বড় রাস্তাগুলো ফাঁকা হয়ে গেলেও বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় লকডাউন উৎসব পালনে জটলার খবর আসতে থাকেই । যা দেখে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ অফিসার বলেন লকডাউনে সহবত হবে না , এমার্জেন্সি চাই । তবে এদিন পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত ইতিবাচক নাকা চেকিং এর ক্ষেত্রে কোনও রেয়াত করেনি , একটি রাজনৈতিক দলের বহু ব্যাজ সজ্জিত একটি এসইউভি গাড়ি থেকে টান মেরে সমস্ত ব্যাজ খুলে ফেলে দেয় ।

এরই মাঝে খড়দহ স্টেশন রোডে রেইড কারার সময় সূর্যসেনে পুলিশের সাথে বচসা বেধে যায় স্থানীয়দের । কাউন্সিলার স্বপন সাহার নেতৃত্বে বেশ কিছু মানুষ পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে আসে । পুলিশ জমায়েত বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেয়নি । আইসি সুজিত ভট্টাচার্য দ্রুত থানায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন । বৈঠক হয় স্বপন সাহার সাথে পরে ঐ বৈঠকে তৃণমূল নেতা কাজল সিনহাও যোগ দেন । এসবের মাঝে পুলিশের আবেদন লকডাউন কোনও উৎসব নয় ।

 

সরকারি নির্দেশে এই মারন ভাইরাস রুখতে ভাইরাসের এই চেনটা ভাঙ্গা ভিষনই জরুরী তাই লকডাউন হাল্কা ভাবে নেবেন না । ঘরে থাকুন । অধিকাংশ মানুষই যখন ঘরে , কিছু অত্যুত্সাহী মানুষের জন্য ভাইরাস চেনটা ব্রেক করা যাবে না । দীর্ঘ হবে লকডাউন , সমস্যা বাড়বে সকলেরই ।এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন আর হালকা ভাবে নয় । গোটা রাজ্যেই আজ বিকেল 5 টা থেকে লাগু হয়ে গেল লকডাউন । তা চলবে আপাতত 31 শে মার্চ পর্যন্ত ।