লকডাউনের আগে ও পরেও আড্ডার মেজাজ চলছেই, পথে পুলিশ ।

অচিন্ত্য চক্রবর্তী ।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার । একই সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । এই নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় লাগাতার প্রচার হয়েছে । জনতা কার্ফুর পরে বাজার খুলতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে মানুষ ব্যাগ ভরে বাজার করেছে এই সুযোগে আলুর কালোবাজারি হয়েছে রমরমিয়ে । 18 টাকা 20 টাকার আলু 25 - 30 টাকায় বিক্রি হলেও দেখা পাওয়া যায় নি কোন টাক্সফোর্স বা সরকারি আধিকারিকের ।

এসবের মাঝেই প্রচার প্রিয় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও স্চ্ছোসেবী সংগঠন ভিড় করে মাক্স বিলি করেছে যা এই করোনা ভাইরাস রুখতে যে নির্দেশিকা রয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তার সম্পূর্ণ বিপরীত কাজ । সরকার আর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিড় করবেন না , তফাতে থাকুন তফাত যান । অথচ এদিন সকাল থেকেই আড্ডার মেজাজ দেখা গেল বহু জায়গায় ।

চায়ের কাপে তুফান তুলে চললো বিশেষজ্ঞর মতামত । এসব থেকে বাদ গেল না জনপ্রতিনিধিরাও । তারাও সপার্ষদ দলীয় অফিসে আড্ডা দিলেন বিধিনিষেধ অমান্য করেই । এসবের মাঝেই বিকেল পাঁচটা থেকে লকডাউন শুরু হলেও আড্ডা বন্ধ হলোনা , সাধারণ জনজীবন থেকে গাড়ি চলাচল সবটাই যেন অনেকটাই স্বাভাবিক ।

অবশেষে পথে নেমে হাল ধরলো পুলিশ । প্রায় জোর করেই মানুষজনকে তাড়িয়ে ঘরে ঢোকালো ।

বন্ধ হল জরুরীপরিষেবা ছাড়া দোকান পাট । লকডাউন শুরু হল ব্যারাকপুর মহকুমার বিভিন্ন অঞ্চলে ।