বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে বিজেপি দুস্কৃতিদের ধীক্কার জানিয়ে বিশরপাড়ায় পোস্টার

 

অলোক আচার্য বিশরপাড়া:

 

ভারতের নবজাগরণের পথিকৃৎ পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মর্মর মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে বিজেপি দুস্কৃতিদের ধীক্কার জানিয়ে বিশরপাড়ায় ১ও ২ নং প্লাটফর্মে পোস্টার পড়ল। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার নিউবারাকপুর দক্ষিন কোদালিয়া বিদ্যাসাগর চর্চা কেন্দ্র এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র ধীক্কার প্রতিবাদ জানিয়ে বিশরপাড়ায় নবজীবন ও মোক্ষদা সুন্দরী বালিকা বিদ্যাবিথীর স্কুলের সামনে পোস্টারিং করে ধীক্কার জানান। মহাণ মনীষির উপর বর্বরচিত আক্রমণের কোনো ভাষা নেই বলেন বিদ্যাসাগর চর্চা কেন্দ্রের সম্পাদক রামেশ্বর বন্দোপাধ্যায়।
বিদ্যাসাগর চর্চা কেন্দ্রের সম্পাদক রামেশ্বর বন্দোপাধ্যায় বলেন গতকাল বিকালে কলকাতা বিদ্যাসাগর কলেজে বিজেপির রোড শোকে কেন্দ্র করে মর্মান্তিক দুখজনক দুর্ঘটনা। সত্যি বললে দারায় অমিত শাহের নির্বাচনী রোড শোকে কেন্দ্র করে যে চরম বিশৃঙ্খলা ভাঙচুর সর্বপরি বিদ্যাসাগরের মত মহান মানুষের মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটে। এতদঞ্চলে বিদ্যাসাগর চর্চা কেন্দ্রের সম্পাদক হিসাবে তার প্রতি ধীক্কার জানাচ্ছি। এই ধীক্কারের চেয়েও চরম কোন প্রতিবাদ আমার কন্ঠে থাকলেও তাকেও আমি উচ্চস্বরে বলতে চাই যেমণীষি বিদ্যাসাগরের মত মানুষ যে কোন দেশে হাজার বছরে জন্মগ্রহণ করেনা। এরকম মানুষের প্রতি চরম অবমাননা জাতীর কলঙ্ক লেপন। সত্তর দশকে নকশালরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার দায় স্বীকার করে এবং মূর্তি ভাঙার প্রতি কুযুক্তিকরে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছিল। আজকের মূর্তি ভাঙার কারিগরেরা ভীরু এবং এমন কাপুরুষ নপুংসক যে তারা তা স্বীকার করতে পারেনা। শুধুমাত্র আসন্ন নির্বাচনে ভোট প্রাপ্তির জন্য। জনগনকে তাদের এমন ভয়। সেই দিন এই জনগণ মসনদ থেকে টেনে নামিয়ে মাটিতে মিশিয়ে দেবে। এই আশা ও ভরসা আমার আছে। বিদ্যাসাগর চর্চা কেন্দ্রের সম্পাদক হিসাবে একজন সাধারন মানুষ হিসাবে অপেক্ষা করে থাকব সেদিনের সুবিচারের আশায়।মহান মনীষী বিদ্যাসাগরের দ্বিশত বর্ষের প্রাক্কালে বিদ্যাসাগর চর্চা কেন্দ্র যে বর্ষব্যাপী জনসচেতনার কর্মসূচি গ্রহন করতে চলেছে সেই অনুষ্ঠানসূচীর প্রথম পদক্ষেপ হল মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদসভা।