
খড়দহে ধর্ষণ কি সুপ্ত প্রেমের সহবাস ? উঠে আসছে নানান চাঞ্চল্যকর ঘটনা ।
অচিন্ত্য চক্রবর্তী, খবরাখবর
খড়দহ রেপের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোড়ন ফেলেছে রাজ্য রাজনীতি তে । ইতিমধ্যেই চায়ের ঠেক থেকে আড্ডার নানান ঠেকে জোরালো আলোচনার ঢেউ উঠছে । সোস্যাল মিডিয়ায় এই ঢেউ সুনামিতে পরিনত হয়েছে । ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে খড়দহে পথসভা এবং থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে তীব্র প্রতিবাদ হয় । বিজেপি নেতৃত্ব কৈলাস বিজয় বর্গিয় , মুকুল রায়, মহিলা মোর্চার নেত্রী লকেট চট্টাপাধ্যায়রা সরকার ও খড়দহ পুলিশ প্রশাসনের তুলোধোনা করেন । মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয় । মুকুল রায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন ।
আপাত দৃষ্টিতে একটি গ্যাং ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসলেও এবং তা নিয়ে তোলপাড় হলেও মহিলার বক্তব্য এবং ঘটনাস্থল কে ঘিরে একাধিক অসঙ্গতি নজরে আসে এই ঘটনার তদন্তে থাকা পুলিশ আধিকারিকদের । যদিও অভিযোগকারীর বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে আশিস বিশ্বাস নামে একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে । সূত্রের খবর এই আশিস কে জেরা করতেই এই ধর্ষণ ঘটনার আসল রহস্য ফাঁস হয় । বেরিয়ে আসে সুপ্ত প্রেমের সম্মতিতেই সহবাস হয়েছিল আশিস ও অভিযোগকারিনীর ।এবং তা হয়েছিল কোনও নির্মীয়মান বাড়ি বা ফ্ল্যাট এ নয় , তা হয়েছিল আশিসের বাড়ির বাথরুমেই । এক দুদে গোয়েন্দার কথায় কোনও ধর্ষণের ঘটনায় প্রাথমিক যে লক্ষন থাকে তার কিছুই অভিযোগকারিণীর কাছে পাওয়া যায় নি । তবে তার পরিধেয় জামাকাপড়ে কিছু একটা যে হয়েছে তার কিছু সূত্র মেলে । শুরু হয় জোরদার তদন্ত একাধিক বার ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ আধিকারিকরা , কথা বলে বহু মানুষের সাথে, সূত্র দেয় এক বয়স্ক মহিলা ।
( ফাইল ছবি ।)
এরপরই খুলতে থাকে এই ধর্ষণ কান্ডের জট । এই সময় পুলিশ অভিযোগকারিণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে জ্ঞান হারানোর ভান করে যাতে পুলিশের সন্দেহ আরও দৃড় হয় । এরপরই মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশ আশিসের নাম পায় । ঘটনাচক্রে এই ঘটনা সামনে আসতেই আশিস বেপাত্তা হয়ে যায় । তাকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেফতারের পর খুলে যায় এই রহস্যের যাবতীয় জট ।
ধৃত আশিসের বয়ান অনুযায়ী ঐ মহিলার সাথে সেদিন তার সহবাস হয়েছিল । তবে শুধু সেদিন নয় এর আগেও অনেকবারই এই সহবাসের ঘটনা হয়েছে । এদিন কেন যে ঐ মহিলা এই অভিযোগ করল তা রহস্য তার কাছে । পুলিশ আপাতত তাকে ব্যারাকপুর আদালতে তুলে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়েছে তবে ইতিমধ্যেই কিভাবে এই সহবাসের ঘটনা হয়েছে তা তদন্তকারী দের দেখিয়েছে আশিস । আর পারিপার্শিক যা তথ্য প্রমাণ পুলিশের হাতে রয়েছে তাতে পুলিশ নিশ্চিত ধর্ষণ নয় সহবাস হয়েছিল অভিযোগকারিণী ও আশিসের । তাই সামগ্রিক ঘটনাকে ভুল পথে চালিত করার জন্য অভিযোগকারিণীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার ভাবনাও ঘুরপাক খাচ্ছে পুলিশের অন্দরে ।