বিএনবোস হাসপাতালের আর একটি সাফল্য,ল্যাপরোস্কোপি পদ্ধতিতে গলব্লাডার স্টোনের অপারেশান।
অচিন্ত্য চক্রবর্তী
মহকুমা হাসপাতালের ক্ষেত্রে আবারও নজির সৃষ্টি করল ব্যারাকপুরের বিএনবোস হাসপাতাল । এবার ল্যাপরোস্কোপি সার্জারির মাধ্যমে গলব্লাডার স্টোনের অপারেশান সফল হল । তাল পুকুর মুক্তপুকুর অঞ্চলের নয়না হরি নামের এক কুড়ি বছর বয়সী মহিলার পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালের আউটডোরে দেখাতে এলে প্রথমিক কিছু টেষ্টের পরে দেখা যায় তার গলব্লাডার স্টোন হয়েছে , অপারেশানর প্রয়োজন।
সার্জেন ডাক্তার অমিতাভ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সার্জেন অতনু পাল ও ডাক্তার সুপ্রিয় ভট্টাচার্য মিলে সিদ্ধান্ত নেন যে সবটা ওপেন করে নয় আধুনিক ল্যাপরোস্কোপি পদ্ধতিতে এই অপারেশান করা হবে । পরিকাঠামো গত যা প্রয়োজন তাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত , হাসপাতালের সুপার সুদীপ্ত ভট্টাচার্য সহকারী সুপার পিউ মজুমদার ও নার্সিং স্টাফরা উৎসাহিত করেন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অনেক কিছু না পাওয়ার মধ্যেও সাফল্যের সাথে বিএনবসু হাসপাতালের প্রথম ল্যাপরোস্কোপি সার্জারি সম্পন্ন হল ।
যাদের জন্য এই সাফল্য এল সেই টিম বিএনবোস হল ডাঃ অমিতাভ ভট্টাচার্য,ডাঃ অতনু পাল >সার্জেন ,ডাঃ সুপ্রিয় ভট্টাচার্য>অ্যানেসথেশিয়া,করবী সিঙ : নার্সিং স্টাফ,অনিতা হালদার : ওটি ইনচার্জ,অমিত হরি,দেবেন্দ্র কামাতি,আব্দুল রহমান: কর্মসাথী ও কর্মবন্ধু ।
ব্যারাকপুরে তো প্রথম এবং অন্যান্য মহকুমাতে এই ধরনের অপরেশান নজির খুব একটা নেই । এসব ক্ষেত্রে বরং যে কোনও মেডিকেল কলেজে রেফার করে নিজেরা সেফ থাকাটাই রেওয়াজ । কিন্তু বিএনবোস হাসপাতাল এই রেওয়াজ পাল্টে দিচ্ছে সুপার সুদীপ্ত ভট্টাচার্যর একটাই কথা কি নেই আমাদের ? এখানে কেন আমরা পারবো না ? আর এর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামিল হয়েছেন ডাক্তার অমিতাভ ভট্টাচার্য , ডাক্তার অতনু পাল ডাক্তার সুপ্রিয় ভট্টাচার্যরা আর তাই সরকারি হাসপাতালের সংঙ্গা বদলে যাচ্ছে বারাকপুরে । সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভরসার প্রতিক হয়ে উঠছে হাসপাতাল ।