
আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শিশু ও মহিলাদের পূজোর আনন্দে সামিল করল রোদ্ধা ও দারুচিনি।
বিজ্ঞাপন
অচিন্ত্য চক্রবর্তী
পাতুলিয়া ও বন্দীপুর পঞ্চায়েত অঞ্চলের আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মহিলা ও শিশুদের পূজো র আনন্দে সামিল করতে পূজোর স্বাদ ষোল আনা এনে দিতে উদ্যগ নিয়েছে রোদ্ধা নামের একটি সামাজিক সংগঠন। তার সাথে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে খড়দহের সেরা রেস্তরাঁ দারুচিনি। পঞ্চমীর সকালে শিশু ও মহিলা নিয়ে প্রায় ৭৫ জনকে বারাকপুর মহকুমার বিভিন্ন ঠাকুর দেখানোর পর দুপুরের খাওয়ার খাওয়ানো হল দারুচিনিতে ।
এদিনের কর্মসূচি সম্পর্কে বলতে গিয়ে রোদ্ধার পক্ষ থেকে সভাপতি গৌরব সাহা বলেন 'এরা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের পুজোয় জামাকাপড়, খাওয়াদাওয়া কি ওরা জানে না । আমরা ওদের নতুন জামা কিনে দিয়েছি, সারাদিন ধরে ঠাকুর দেখালাম, ওদের শিক্ষা স্বাস্থ্যে অনেক অভাব আছে আমরা চেষ্টা করছি কিছু করার'। সংগঠনের অন্যতম সহসভাপতি পিয়াসা দত্ত বলেন পূজোতে আমরা তো অনেক আনন্দ করি এই এই আনন্দের অনুভূতি একেবারেই আলাদা। টেলিজগতের অন্যতম প্রখ্যাত অভিনেতা সৌরভ সাহা তার অনুভূতি সম্পর্কে বলেন যে কাজ রোদ্ধা ও দারুচিনি করল তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। উপস্থিত ছিলেন খড়দহ পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বপন সাহা রোদ্ধা ও দারুচিনির এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন সকলকে শুভেচ্ছা জানান ।
ছোট্ট ছোট্ট শিশু বয়স্ক মহিলা যাদের জন্য এই অনুষ্ঠান তারা তাদের অনুভূতি সম্পর্কে বলেন দাদারা ছিল বলেই জামা হল , গাড়ি করে ঠাকুর দেখলাম এত সুন্দর জায়গায় বসে খাচ্ছি। এত আনন্দ কোনও দিন করিনি ।
ওদের অনভ্যস্ত হাতে কাটাচামচ সড়গড় নয় , অভিজাত রেস্তরাঁ দারুচিনি ওদের কল্পনাতেও আসে না। সেখানে বসে গোল গোল চোখে একরাশ হাসিতে মাতিয়ে তুলেছিল ওরা । এসব দেখে দারুচিনির অন্যতম কর্ণধার কৌশিক গুহর বক্তব্য বেশ ভালো লাগলো ওদের খাওয়াতে পেরে । সবাই যদি একটু একটু করে সমাজের জন্য করে তবে সমাজটা একে বারে অন্যরকম হয়ে যাবে । এই দিনটার অপেক্ষায় আমারা অনেক দিন ধরেই ছিলাম ।