চুড়ান্ত অস্বাস্থকর পরিবেশে ঐতিহাসিক রানী রাসমনি ঘাটে তর্পণ সাধারনের।
অচিন্ত্য চক্রবর্তী
মহালয়া থেকেই শুরু হয় দেবী পক্ষের সূচনা। এক পক্ষকাল পিতৃ পক্ষের শেষে মহালয়ার মাধ্যমে দেবী দুর্গা পা রাখবেন মর্তলোকে ,মূলত মহালয়া হয় অমাবস্যা তিথিতে এবার অমাবস্যা শুরু হয়েছে সকাল এগারটা থেকে। পূর্ব পুরুষদের বাড়ি জলদান করতে অন্যান্য বার যেমন ভোর থেকেই গঙ্গার ঘাটে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে এদিন তেমনই বেলা এগারটার পর থেকেই গঙ্গার ঘাটে ভিড় বাড়তে থাকে মানুষের। নিয়মানুযায়ী গঙ্গায় নাভী পর্যন্ত জলে ডুবিয়ে পিতৃপুরুষকে জলদান করতে হয় তর্পণের সময়। কিন্তু ব্যারাকপুরের ঐতিহ্যবাহী রাসমনি ঘাটে তর্পণ করতে আসা মানুষজন চরম অসুবিধায় পড়ল নোংরা আবর্জনা আর কচুরিপানার অসাস্থকর পরিবেশের জন্য গঙ্গায় নেমে ভালো করে ডুব দিয়ে স্নান করার ইচ্ছে যাদের ছিল তারা কোন মতে হাঁটুজলে দড়িয়ে তর্পণ সারলেন নম নম করে। এদেরই একজন তপন সাঁধুকা বলেন নোংরা আর কচুরি পানায় চারদিকের যা অবস্থা তাতে বর্ষা শেষের গঙ্গা নয় মনে হচ্ছে মজা কোন খালে এসেছি।
এত অসাস্থকর পরিবেশ যে তর্পণ করাটা মনপূত হল না। এরকম প্রতিক্রিয়া অনেকেরই, অনেকে আবার স্ত্রী পুত্র কন্যা নিয়ে সপরিবারে এসেছিল গঙ্গা স্নান করে পূন্য লাভের আশায়, কিন্তু তাদের আশা পূর্ণ হল না। গঙ্গার এই হাল দেখে। চর্মরোগের ভয় আর নামা হল না গঙ্গায়। অনেকেরই বক্তব্য মহালয়ের দিন গঙ্গার ঘাটে ভিড় হবে মানুষ জন স্নান করতে আসবে এটাই স্বাভাবিক তাই প্রশাসানিক স্তরে একটু উদ্যগী হয়ে পরিষ্কার রাখা যেতনা গঙ্গার ঘাট ? নানান ঐতিহ্যের স্বাক্ষ্য ভন করে চলেছে ব্যারাকপুর রানী রাসমনি ঘাট । মহালয়ার পূর্ণ লগ্নে ঘাটের এই করুণ চিত্রে হতাশ অনেকেই।