রেশন দোকান থেকে চাল, ডাল, গমের পাশাপাশি টিভি, মাইক্রো ওভেন ও দেওয়া হবে বলে জানালেন খাদ্যমন্ত্রী।

অলোক আচার্য ও অচিন্ত্য চক্রবর্তী, ব্যারাকপুর

রেশন দোকান থেকে চাল, ডাল, গমের পাশাপাশি টিভি, মাইক্রো ওভেন ও দেওয়া হবে বলে জানালেন খাদ্যমন্ত্রী। চাল, ডাল,কলগেট বিস্কুটের পাশাপাশি আর ও অতিরিক্ত ৪০৩ টি ভোগ্যপণ্য রেশনিং এর আওতায় আসবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী জোতিপ্রিয় মল্লিক। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় খাদ্যসাথী প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কল্যানী ও ব্যারাকপুর মহকুমায় খাদ্য নিয়ামকের নব নির্মিত কার্যালয়ের (খাদ্যভবন) শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বৃহস্পতিবার দুপুরে।

ছবি সেখ সাইফুল্লা।

বাজারি মূল্য থেকে ২৬% কম দামে পাওয়া যাবে টিভি ও ফ্রিজ। রেশনিং ব্যবস্থাকে সুষ্ঠভাবে ঢেলে সাজাতে রাজ্য সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তীব্র বিষেদাগার করতে ছাড়েননি মন্ত্রী। ব্যারাকপুরে প্রশাসনিক ভবনে নব নির্মিত কার্যালয়ের উদ্বোধন করে মন্ত্রী বলেন ব্যারাকপুর ব্লক ১ ও ব্লক ২ মহকুমার পঞ্চায়েত এলাকার রেশনিং সংক্রান্ত যাবতীয় অভাব অভিযোগ ও নথি জানতে পারবেন এই অফিস থেকে

 

ছবি সেখ সাইফুল্লা।

তারজন্য কলকাতার খাদ্যভবন আর ছুটতে হবে না। রেশনিং অফিসে নাম তুলতে গেলে ভোটার কার্ড ও অন্যান্য নথি থাকলে ও চলবে। আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। রেশনিং এ কেরোসিন তেল আগামীদিনে থাকবে কিনা আশংকা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। চাষীদের স্বার্থে রাজ্য সরকার নিজেরাই ধান কিনবেন। এর জন্য ধানেের সহায়ক মূূল্য ধার্য করা হয়েছে ১৭৫০ টাকা সাথে উৎসাহ ভাতা ২০ টাকা । আর এই ধান বিক্রির জন্য কৃষকের আঁধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়, যে কোনও একটি পরিচয় পত্র থাকলেই সোজা তার একাউন্টে টাকা চলে যাবে ফলে মাঝে কোনও দালাল থাকবে না । তিনি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন, রাজ্যের কোনও মানুষ যেন অভুক্ত না থাকেন।

 

ছবি সেখ সাইফুল্লা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী, বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার ডঃ রাজেশ সিং, বিধায়ক নির্মল ঘোষ, অর্জুন সিং, সুনীল সিং, শীলভদ্র দত্ত, মহকুমা শাসক একে আজাদ ইসলাম, ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান উত্তম দাস, উত্তর ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান মলয় কুমার ঘোষ,টিটাগড় পুরসভার পুরপ্রধান প্রশান্ত চৌধুরী সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা ।