
২২ ইয়ার্ডসের খেলোয়াড় দের সংবর্ধনা , কর্নধার স্নেহাশিষের
অচিন্ত্য চক্রবর্তী
সিএবি পরিচালিত বয়স ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অনুর্ধ ১৪ ও ১৭ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ২২ ইয়ার্ডস স্পোর্টস স্কুল। ১৭ বিভাগে স্পোর্টস লাভার্স এসোসিয়েশন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যা আদতে ২২ ইয়ার্ডসের একটি দল । কোচ শঙ্কর ভট্টাচার্যের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ দিন একসাথে প্র্যাকটিস করছে এই দল অপর দিকে কোচ রাজীব লোচন গাংগুলির তত্ত্বাবধানে সাবজুনিয়ার টিমও একসাথে অনেক দিন ধরে এই টুর্নামেন্টের জন্য তৈরী হয় । সিএবির বয়স ভিত্তিক সাব জুনিয়র ও জুনিয়র বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশির হাওয়া সল্টলেক করুণাময়ীর ২২ ইয়ার্ডসের মাঠে ।
এদিন মাঠেই ছিমছাম এক অনুষ্ঠানে সাব জুনিয়র ও জুনিয়র টিমে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা জানান কর্ণধার স্নেহাশিষ গাংগুলি । তিনি তার বক্তব্যে উপস্থিত শিক্ষার্থী খেলোয়াড় দের নানান টিপস দেন । তার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন 'যে কোনও ফরম্যাটে দুটো টিম কে চ্যাম্পিয়ন করাটা বেশ আনন্দের ,জুনিয়র বিভাগে যে দলটি চ্যাম্পিয়ন হয় সেটা আমাদের তৃতীয় দল , প্রথম দুটো দল টসে হেরে গেছে তাই একটু চিন্তিত ছিলাম । কিন্তু ছেলেরা ভালো খেলেছে , সম্পূর্ণ কৃতিত্ব কোচ ও খেলোয়াড়দের ।
ভবিষ্যতের খেলোয়াড়দের জন্য তার টিপস খেলাকে ভিষনই ভালোবাসতে হবে, খেলার প্রতি সৎ হতে হবে আর পরিশ্রম করতে হবে , জীবনে বড় কিছু পেতে গেলে কোনও শর্টকাট রাস্তা হয় না ' ।
সবুজ গালিচার মতো মাঠ , পর্যাপ্ত নানান ধরনের উইকেট নেট , প্রায় ৩৫ জন কোচের তত্ত্বাবধান । এই পরিকাঠামো সারা ভারতে খুব কম আছে । তাই সাফল্য কাঙ্খিতই । তবে দু - ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়নের খেতাব বেশ আনন্দেরই আর তা বেশ উপভোগ করলো উপস্থিত অভিভাবক থেকে শিক্ষার্থী খেলোয়াড় সকলেই ।
ছোট ছিমছাম অনুষ্ঠান হলেও কর্ণধার স্নেহাশিষের আন্তরিক ব্যবহার, খেলোয়াড়দের বুকে টেনে নেওয়া, সকলের সেলফির অনুরোধ গ্রহন করা , সবটাই এক অন্যমাত্রা দেয় অনুষ্ঠানকে ।