
ইন্দোনেশিয়ায় অজগরের পেটে আস্ত মহিলা
অচিন্ত্য চক্রবর্ত্তী:--সোসাল মিডিয়ায় অজগরের পেট চিরে এক মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনার ছবি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সোসাল মিডিয়ায় ।
ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি প্রদেশের মুনা দ্বীপের বাসিন্দা ৫৪ বছরের ওয়া টিবা গত বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির কাছে সবজি ক্ষেতে গিয়ে আর ফেরেননি।
ঘণ্টা কয়েক পর গ্রামের প্রায় শখানেক মানুষজন তাকে তোলপাড় করে খুঁজতে শুরু করে। পরের দিন ক্ষেতের কাছে জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যায় ঐ মহিলা ওয়ে টিবার পায়ের স্যান্ডেল এবং হাতের ছুরিটি পড়ে রয়েছে। আর তার ৩০ মিটার দূরে শুয়ে আছে পেট মোটা বিশাল এক ডোরাকাটা অজগর সাপ।
"গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয় সাপটিই হয়তো ওয়া টিবা কে খেয়েছে। তারা সাপটি মেরে সেটিকে জঙ্গলের বাইরে নিয়ে যায়," স্থানীয় পুলিশ প্রধান হামকা সংবাদ সংস্থা কে জানান। "পেট চিরে দেখা যায় তার ভেতর ঐ নিখোঁজ মহিলার মরদেহ। এই ছবি সোসাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয় ।
সোশাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ফুটেজে দেখা যায়, অজগরের পেট থেকে বের করে আনা হচ্ছে পূর্ণবয়স্কা এক মহিলার অক্ষত মরদেহ।
সুলাওয়েসির ঐ অজগরটি ছিল বিশাল আকৃতির ডোরাকাটা প্রজাতির। এ ধরণের অজগর ৩২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এরা অতর্কিতে হামলা চালায়। তারপর দ্রুত শিকারকে শরীর দিয়ে পেঁচিয়ে ফেলে প্রচণ্ড চাপ দিতে থাকে। ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যে শিকারটি দম বন্ধ হয়ে বা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়।
তারপর আস্ত গিলে খেয়ে ফেলে সেটিকে। অজগরের চোয়ালের পেশীগুলো খুবই নমনীয়। ফলে শিকারের আকৃতি বড় হলেও সেটিকে আস্ত মুখের ভেতরে নিতে সক্ষম হয় তারা।
অজগর সাধারণত মানুষের বসতি এড়িয়ে চলে। কারন
মানুষ গিলে খাওয়ার
শেষে এক সমস্যার মুখোমুখি হাতে পারে অজগর। বন্য প্রাণী গবেষকরা জানান "মানুষের কাঁধের হাড় সমস্যা তৈরি করে, কারণ ঐ হাড় বাঁকেনা।" ফলে অজগর মানুষ এড়িয়ে চলে ।
"অজগরের প্রধান খাবার স্তন্যপায়ী প্রাণী। তবে তারা মাঝে মধ্যে কুমিরসহ বিভিন্ন সরীসৃপও খায়।"
অজগরের নিয়মিত খাবার বড় ইঁদুর এবং ছোটোখাটো জন্তু। তবে আকারে যত বড় হতে থাকে ততই বড় আকারের প্রাণী তারা টার্গেট করে। তার প্রধান কারণ, ইঁদুর খেয়ে তখন বড় অজগরের ক্যালরির প্রয়োজন মেটেনা।
তখন বন্য শুকর বা বড় ধরনের শিকার ধরতে হয় ।
শিকার ধরার ব্যাপারে অজগর অনেক বাছ-বিচার করে। ঠিক ঠাক শিকার না পেলে দিনের পর দিন অনাহারে কাটিয়ে দিতেও আপত্তি নেই অজগরের ।